Friday, October 18, 2013

লিও তলস্তয়ের ইভান ইলিচের মৃত্যু/ শয়তান- পর্যালোচনা - নিকোলাস লিজার্ড (The Death of Ivan Ilyich/The Devil by Leo Tolstoy – review -Nicholas Lezard)


ভাষান্তরঃ যারিফ মুহিব অয়ন


অযথা, কিন্তু ব্যাপার হল এই দেশে যখনই আপনি তলস্তয় এর কথা বলবেন মানুষজন “যুদ্ধ ও শান্তি” এর কথাই ভাববেন, এর পরপরই তাদের মনে যেটা আসবে সেটা হল ... “এটা অনেক বড়, আমি আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকেই জানি, এটা আমার কখনই পড়া হয়ে উঠবে না।” তবে এই কলামের উদ্দেশ্য “যুদ্ধ ও শান্তি” বইটা না পড়ার কারণে আপনাদের খোঁটা দেয়া না, বরং একটা নতুন কাজের রাস্তা বাতলে দেয়া। যদিও তলস্তয় সাধারণত তার বৃহত্তর কাহিনীর জন্য খ্যাত, তিনি ছোট আকারের সাহিত্য নিয়েও অসাধারণ কাজ করেছেন, যা এই দুটি উপ-উপন্যাসে দেখতে পাওয়া যায়।

যুদ্ধ ও শান্তি বইটার পরে, ইভান ইলিচের মৃত্যু ই সম্ভবত তার সর্বৎকৃষ্ট সৃষ্টি- আর এটার পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। সাহিত্যের ইতিহাসে দাগ রেখে যাওয়া কাজগুলোর মাঝে এটাকে অন্যতম বলা যায়, শুধু মৃত্যুই না মানব চরিত্রের অতলেও একটা কঠোর, মোহহীন অন্তঃদৃষ্টি এই সাহিত্যকর্মটি পড়া অত্যাবশ্যকীয়ঃ এ কারণে না, এটা পড়ে আপনি একটা সাংস্কৃতিক মাইলফলক অতিক্রম করে ফেলবেন (যেভাবে প্রায়ই লোকেরা মনে করে থাকেন যে হয় তো একদিন অবসরের সময় তারা যুদ্ধ ও শান্তি বইটা পড়ে শেষ করবেন), কারণ এটা ছাড়া আপনারা মানুষ বলতে যা বোঝায় সে চিত্রের একটা বড় অংশই দেখা বাদ দিয়ে ফেলবেন, আর এটা কেবল উনবিংশ শতাব্দির শেষাংশের জন্য প্রযোজ্য নয়, বর্তমানের জন্যও বটে।    

এটা চরম সুক্ষ একটি কাজ, যা বাক্যের পর্যায়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে করা হয়েছে, ফলত সাহত্যটির নির্মমতম অংশগুলোও দেখতে ওয়াহ এর বরফে ঢাকা অংশের মত লাগে। এর গঠনশৈলী অত্যন্ত গুরুত্তপুর্ণ। শুরুতেই ইলিচের মৃত্যু সংবাদ ঘষিত হয়, আর আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই তা তার সহকর্মীদের মাঝে ঠিক কি প্রভাব ফেলে। ফিডর ভ্যাসিলিভিচ ভাবল,“ এখন আমি হয়তো শ্তাবল বা ভিন্নিকভের জায়গাটায় কাজ পাব,” আর, পিটার ইভানোভিচ ভাবল, “এখনই আমাকে কালুগা থেকে আমার শালার বদলির জন্য তদবির করতে হবে,’ । এতে গিন্নী বেশ খুশি হবেন। আর এখন থেকে সে কখনো এটা বলতে পারবে না যে আমি আমার আত্মীয়দের জন্য কখনোই কিছু করিনি।” (এই ফিডর ভ্যাসিলিভিচ আর পিটার ইভানোভিচ কে ছিল এটা নিয়ে আপনার খুব উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেইঃ তারা হলেন, আপনি আর আমি।)

প্রথমেই আমরা জানতে পারি ইভান ইলিচ যিনি পেশায় একজন বিচারক, জীবনের শেষ তিন দিন ক্রমাগত চিৎকার করতে করতে ভুগেছেন; এরপরে তলস্তয় আমাদের এই দুঃস্বপ্নের ভেতরে নিয়ে যান, একদম শুরু থেকে। এটা এমন একটা জীবনের পরীক্ষা এবং তার ফলাফল সমূহ যা সঠিক ভাবে যাপিত হয় নি। আর মাইলফলক হিসেবে মৃত্যু ভীষণ কার্যকর একটি উপাদান। ইম্পসন এর মতে, মৃত্যু হল সাহিত্যের মানুষদের সবচেয়ে বড় ধরণের অস্ত্রের ঘোড়া, আর সবচেয়ে ভালো মানের নিশানাবাজদেরই শুধু এটা টানা উচিৎ (মাঝে মাঝে আমার মনে হয় ব্যাকেটের ‘ম্যালনের মৃত্যু’ এটার বিপরীত রসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা- যাকে বলা যায়, হালকা একটা তৃপ্তি)।  

অধিকাংশ মন্তব্যকারীরাই মনে করেন যে ইলিচ হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার জীবনকে ক্রমাগত বর্ধমান অপ্রীতিকর একটা ধ্বংসের মুখে যেতে দেখারই যোগ্য ছিলেন,  কিন্তু এই বইয়ে এটারও খুব সুক্ষ প্রমাণ রয়েছেঃ আপনি হয়তো মনে করে থাকবেন যে, কোন মতেই যেন কোর্টে তার মত মানুষের সামনে পরতে না হয়, কিন্তু তিনি খুব সাধারন একজন অবিবেচক বা প্রবঞ্চকের মতই। তার যে সকল ভুল ধারনা ছিল সেগুলো আপনার, আমার অথবা সেভাবে দেখলে ফিডর ভ্যাসিলিভিচের থেকে আলাদা কিছু নয়। এটাই এই বইটাকে এতোটা চমকপ্রদ করে তোলে।

আজকের আলোচনার দ্বিতীয় বই, শয়তান  লেখা হয়েছিল এর দুই দশক পর, আর এটা অপেক্ষাকৃত অনেক ভালো একজন ব্যক্তি, ইয়েভ্যাগ্নি ইরটেনইএভ এর গল্প, যার গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে অনেক ভূ-সম্পত্তি ছিল, যে বিয়ের আগে নিজেকে এমন একটি পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করে যেখানে তার কামনা চরিতার্থ করা প্রয়োজন হয়ে পরে। (“সে কোন স্বাধীনচেতা ব্যক্তিও ছিল না আবার যেমনটা সে নিজকে বলেছিল,  সে কোন সন্তও ছিলো না।”)  এটার একটা মজার দিক আছে, বিশেষ করে আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে; কিন্তু আধুনিক একটা দৃষ্টি ভঙ্গি এখানে তেমন খাপ খাওয়াবে না। এর পরেও আপনি ভাবতে পারেন তলস্তয় আমাদের মুখ থেকে যেবাভে হাসি কেড়ে নেন তা একটু চরমপন্থাই বটে,আর যেটা জানা যায় এখানে তো সে সেই দাড়ি ভর্তি, কঠিন চেহারার একজন নীতিবাদী। এতে আমাদের অন্যরকম একটা শেষ তিনি দিয়েছেন, কিন্তু দুটোই নির্মম।   

main text :

It is so trite an observation as to be barely worth making, but the fact is that when you mention Tolstoy in this country, people think "War and Peace", immediately followed by ". . . and it's very long, and in my heart of hearts, I know I will never get round to reading it." Well, it is not the job of this column to make you feel bad about not having read War and Peace, but to offer a useful alternative. For Tolstoy, although associated with the broadest of canvases, was also a supremely competent miniaturist, as you'll be able to see from these two novellas.
The Death of Ivan Ilyich is probably his best-known work after War and Peace – and with good reason. It is one of the most lacerating works of literature ever written, a hard, pitiless stare into the abyss, not just of death, but of human nature. It is one of those works that's essential: not because reading it means you can tick off a cultural milestone (much in the way that people imagine that one day, perhaps in retirement, they can tick off War and Peace), but because without it you're missing part of the picture of what it means to be human, and not just in late 19th-century St Petersburg, but now.
It is a superbly precise piece of work, devastating at the level of the sentence, like the bleakest parts of Waugh at his most bitter. The structure is crucial. Ilyich's death is announced at the beginning, and we can see exactly what effect it has on his colleagues. "'I'll probably get Shtabel's or Vinnikov's job now,' thought Fyodor Vasilyevich." And: "'I'll have to request a transfer from Kaluga for my brother-in-law now,' thought Pyotr Ivanovich. 'The wife will be delighted. And now she won't be able to say I've never done anything for my relatives.'" (You need not trouble yourself too much about who Fyodor Vasilyevich and Pyotr Ivanovich are: they are you and I.)
We learn early on that Ivan Ilyich, a judge, had spent the last three days of his life screaming continually; and then Tolstoy takes us into the nightmare, from its very beginning. It is an examination of a life not well lived, and the consequences of it. And as a memento mori it is terribly effective. Death, as Empson said, is the trigger of the literary man's biggest gun, and only the best marksmen should deal with it (I sometimes wonder whether Beckett's Malone Dies was written as a comic counterpoint to this work – light relief, as it were).
Ilyich is assumed by most commentators to be the kind of man who deserves to see his life as an increasingly ghastly blunder, but there is scant evidence in the text for this: you might not have wanted to come up against him in court, you feel, but he is no more than averagely inconsiderate or fake. His delusions are no different from yours, mine, or for that matter Fyodor Vasilyevich's. That's what makes the book so astonishing.
The second novella in this edition, The Devil, was written a couple of decades later, and is the story of a much better man, Yevgeny Irtenyev, who, before his marriage, having inherited an estate in the country, finds himself in a position where he needs to have his lust satisfied. ("He was not a libertine, yet neither, as he told himself, was he a monk.") There is a funny side to this, especially from a modern perspective; but a modern perspective won't quite do here. Even so, you might think that the way Tolstoy wipes the smile off our faces is a little extreme; and here he is the full-bearded, stern-looking moralist that he has come to be known as. We are provided with an alternative ending; each is grim.

Friday, January 4, 2013

আমেরিকা- এলেন জিন্সবার্গ (America- Allen Ginsberg)




ভাষান্তরঃ যারিফ মুহিব অয়ন। 

তোমাকে তো সবই দিয়েছি আমেরিকা, এখন নিঃস্ব।

আমার পকেটে কেবল দু ডলার সাতাশ সেন্ট, আজ তারিখঃ জানুয়ারী ১৭, ১৯৫৬।

আমার মাথাটা আর ঠিক রাখতে পারছি না।

আমেরিকা, কখন মানুষে-মানুষে আমাদের এ যুদ্ধ আমরা বন্ধ করব?
তোমার ওই আণবিক বোমা তুমি নিজের পেছনেই ঢুকাও
ওসব আমার ভাল লাগে না, আমায় আর জ্বালিও না।
আমার মাথা ঠিক হবার আগে আমি আর কোন কবিতা লিখছি না।  

আমেরিকা, বলত, তোমার ফেরেশতা প্রতিম চেহারা কবে দেখব?
কখন তোমার এই আবরণ তুমি খুলবে?

কখন তুমি তোমার সমাধির ভেতর দিয়ে নিজেকে দেখতে শিখবে?
কখন তুমি এই লাখ লাখ ট্রটক্সিদের কাজে লাগবে?
আমেরিকা, তুমিই বল, তোমার পাঠাগারগুলো এতো কান্নায় ভরা কেন?

আমেরিকা তোমার এই ডিমগুলোকে তুমি কবে ভারতে পাঠাবে?

তোমার এই পাগলসম চাহিদার চাপে আমি পাগল হয়ে যাব।

তাহলে তুমিই বলে দাওতো শুধু আমার চন্দ্রবদঙ্খানি দেখিএ কবে তোমার ঐ সুপারমার্কেটগুলো থেকে দরকারী জিনিসগুলো পাব?

আমেরিকা আসলে ঐ তুমি আর আমিই হলাম নিখুত, বাকি পৃথিবী খুতে ভরা।
তোমার এই যন্ত্রপাতি আমার খুব ভারি মনে হয়।
জানো তুমিই আমার মাঝে সাধু হবার প্রেরণা জুগিয়েছ।

আমার এই তর্ক খতম করার তো তোমার আরও মেলা রাস্তা আছে।  

ব্যুরাঘস তো তাঞ্জিরেই আছে, মনে হয় না সে ঐ অবৈধ জায়গা থেকে ফিরতে পারবে।
তুমি কি নিজে অশুভ রূপ নিচ্ছ নাকি এটাও তোমার কোন বাস্তব ঠাট্টার অংশ?
দাঁড়াও, আমি আলোচনায় আসার চেষ্টা করছি।

আমি এই আচ্ছন্নতা ছাড়তে নারাজ।

আমারিকা আমাকে নিয়ে ধাক্কা-ধাক্কি বন্ধ কর, আমি জানি আমি
কি করছি।

দেখ আমেরিকা তোমার পামের পাপড়িগুলো ঝড়ে পড়ছে।
বেশ কয় মাস ধরে খবরের কাগজগুলো পড়া হচ্ছে না, খবর আসে,
প্রতিদিনিই কেউ না কেউ হত্যার দায়ে জেল যাচ্ছে।

জানো আমেরিকা আমি উবিদের প্রতি খুবই সংবেদী।

আমেরিক, জানো আমি ছোট থাকতেই সাম্যবাদী ছিলাম, আর তা
নিয়ে আমি মোটেই দুঃখিত নই।

যখনই সুযোগ পাই আমি গাঁজায় টান দেই।

আমি দিনের পর দিন ঘরের কোণে বসে থেকে একপাশে রাখা
গোলাপগুলোর দিকে চেয়ে থাকি।

যখন আমি চায়না টাউনে যাই, মদ খেয়ে মাতাল হই, কিন্তু কার
সাথে বিছানায় যাই না।

মাথায় সব সময় ঘুরতে থাকে যে ওখানে কোন না কোন একটা
ঝামেলা পাকবে।

তোমার না আমাকে মার্ক্স পড়া অবস্থায় দেখা উচিৎ ছিল।

আমার মনঃরোগ বিশেষজ্ঞের মতে আমি একদম ঠিক আছি

আমি আর তোমার ঐ প্রভুর প্রার্থনা করছি না।

আমার কাছে না অদ্ভুতুড়ে অন্ত্রদৃষ্টি আর বহিঃজাগতিক কম্পন
আছে।

আমেরিকা আমি তো এখনও তোমাকে বলিই নি যে ম্যাক্স কাকু
রাশিয়া থেকে ফিরে আসার পর তার সাথে কি করেছিলে।
হ্যা, তাকাও আমি তোমাকেই বলছি।

তুমি কি তাহলে তোমার অনুভূতিশীল জীবনটাকে টাইম
ম্যাগাজিনের হাতেই ছেড়ে দিলে?
আমি এই টাইম ম্যাগাজিন দিয়ে আবিষ্ট হয়ে পড়েছি।
প্রতি সপ্তাহেই এটা পড়া হয়।

মিষ্টির দোকানটা লুকিয়ে পেরুতে গেলেই দেখি ওটার প্রচ্ছদ
আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
আমি বেকারলী পাবলিক লাইব্রেরীর নিচের পাতাল ঘরে বসে বসে
ওটা পড়ি।
এটা দেখি আমাকে সবসময়ই দায়িত্বজ্ঞানের বাণী শোনায়। বলে
যে, ব্যবসায়ীরা নাকি দায়িত্ববান, চলচিত্রের প্রযোজকরাও নাকি
দায়িত্ববান, একমাত্র আমি ছাড়া বাকি সবাই দায়িত্ববান।
হঠাৎ করেই জানো আমার মনে পড়ে যায়, আমি নিজেই তো
আমেরিকা।

আমি আবার নিজের সাথেই কথা বলা শুরু করেছি।
এশিয়া আমার বিরুদ্ধে জেগে উঠছে।
আমার আর কোন সুযোগ নাই।

আমার বরং নিজের জাতীয় সম্পদগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিৎ।

আমার জাতীয় সম্পদগুলোর মাঝে পড়ে, গাঁজার দুটো স্টিক, লাখ
লাখ যৌনকর্মী, একটা অপ্রকাশিত ব্যক্তিগত সাহিত্যকর্ম যা ঘন্টায়
পাড়ি দেয় ১৪০০ মাইল, আর পঁচিশ হাজার পাগলাগারদ।

আমি তো আমার জেলখানাগুলো নিয়ে কিছুই বলি নি, সেই সব
বঞ্চিতদের নিয়েও কিছুই বলি নি যারা আমার ফুলদানীর নিচে
পাঁচশ সুর্যের নিচে বেঁচে আছে।

আমি ফ্রান্সের সব পতিতালয়গুলোকে তুলে ফেলেছি, সাম্নেই আছে
তাঞ্জিরের নাম।  

ক্যাথোলিক হওয়া সত্ত্বেও আমার রাষ্ট্রপতি হবার খুব শখ।
বলত আমেরিকা তোমার এই অচেতন অবস্থায় আমি কি করে
কোন পবিত্র প্রার্থনা সঙ্গীত রচনা করি?
আমি আমার স্তবকগুলোর ক্ষেত্রে হেনরি ফোর্ডের মতই ব্যবস্থা নেব,
আমারগুলো আলাদা আলাদা ভাবে তার ঐ একেকটা গাড়ির মতই,
কিন্তু ওগুলোর মত না, আমার গুলোর লিঙ্গে কিন্তু ভিন্নতা আছে।

আমেরিক আমি তোমায় প্রতিটি স্তবক বেচব ২৫০০
ডলারে, আর তোমার পুরোনো স্তবক গুলোতে তুমি ৫০০ ডলার
ছাড় তো পাচ্ছই।

আমেরিকা টম মুনিকে মুক্তি দাও

আমেরিকা স্পেনের পক্ষে যারা সাঁচ্চা তাদের বাঁচাও
আমেরিকা স্যাকো আর ভ্যানযেত্তিকে কিছুতেই মরতে দেয়া যাবে
না

আমেরিকা আমিই সেই স্কটবোরো।
আমেরিকা যখন আমার সাত বছর বয়স তখনই মা আমাকে
সাম্যবাদীদের কেন্দ্রীয় সমাবেশগুলোতে নিয়ে যেতেন 

তারা সেখানে আমাদের কাছে এক নিকেল করে বেচত
গারবানযো

সেখানে বক্তব্যগুলো ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত, ওখানে সবাই কর্মদের প্রতি কি উদার আর ভালই না ছিল, এটা যে কি আন্তরিক ছিল, তোমার কোন ধারণাই নাই যে ১৮৩৫ সালে পার্টিটা
কি দারুন এক জায়গা ছিল, ছিলেন স্ক নেরিং এর মত এক
সুমহান অভিজ্ঞ ব্যক্তি, মা মেন্স ব্লর আর ইস্রেল এমটার এর মত
প্রকৃত সাধাসিধে মানুষ যাদের দেখে আমার চোখে পানি এসে যেত।
ওরা সবাই গুপ্তচর ছিল তাই না।

আমেরিকা তুমি তো আসলে যুদ্ধে যেতে চাওনা।
আমেরিকা এটা চায় ঐ বদ রাশানরা।
ঐ ঐ রাশানরাই, আর ঐ চাইনিজরা। আর ঐ রাশানরাই।
ঐ রাশিয়া আমাদের জ্যান্ত চিবিয়ে খেতে চায়। রাশান ক্ষমতা হল
উন্মাদ। সে আমাদের গ্যারাজ থেকে আমাদের গাড়িগুলোও নিয়ে
যেতে চায়।
সে চায় শিকাগো দখল করতে। তারও ঐ একটা রেড রিডারস ডাইজেস্ট দরকার। সাইবেরিয়াতে আমাদের যে গাড়ীর কারখানা গুলো আছে সেগুলো চায় সে।

এটা মোটেও ভাল না। উফ। সে তো ভারতীয়দের লিখতে পড়তে শিখাতে চায়। তার দরকার বড় বড় কালো নিগ্রোদের।
হাহ। সে আমাদের দিনে ষোল ঘন্টার বেশি কাজ করায়। বাঁচাও।
আমেরিকা, এটা কিন্তু খুবই গুরুতর ব্যাপার।
আমেরিকা, টিভি দেখে তো এমনই মনে হয়।
আমেরিকা আসলেই কি এটা ঠিক?
আমাকে এখনই এটা বের করে ফেলা উচিৎ।
এটা ঠিক যে আমি ঐ সেনাবাহিনীতে যগ দিতে চাই না, আমি চাই না ঐ বিশুদ্ধ লেদের কারখানায় কাজ করতে, এমনিতেই আমি
দুরের কিছু দেখতে পাই না আর মাথায়ও সমস্যা আছে।
আমেরিকা আমি শেষ পর্যন্ত এই অসুস্থ কাধটা হুইল চেয়ারেই
সমর্পন করলাম।
main text[

America

Allen Ginsberg

America I've given you all and now I'm nothing.
America two dollars and twenty-seven cents January 17, 1956.
I can't stand my own mind.
America when will we end the human war?

Go fuck yourself with your atom bomb


I don't feel good don't bother me.


I won't write my poem till I'm in my right mind.

America when will you be angelic?

When will you take off your clothes?

When will you look at yourself through the grave?

When will you be worthy of your million Trotskyites?


America why are your libraries full of tears?

America when will you send your eggs to India?
I'm sick of your insane demands.
When can I go into the supermarket and buy what I need with my good looks?
America after all it is you and I who are perfect not the next world.
Your machinery is too much for me.


You made me want to be a saint.

There must be some other way to settle this argument.
Burroughs is in Tangiers I don't think he'll come back it's sinister.

Are you being sinister or is this some form of practical joke?


I'm trying to come to the point.

I refuse to give up my obsession.
America stop pushing I know what I'm doing.
America the plum blossoms are falling.
 
I haven't read the newspapers for months, everyday somebody goes on trial for
murder.

America I feel sentimental about the Wobblies.
America I used to be a communist when I was a kid and I'm not sorry.
I smoke marijuana every chance I get.
I sit in my house for days on end and stare at the roses in the closet.
When I go to Chinatown I get drunk and never get laid.
My mind is made up there's going to be trouble.
You should have seen me reading Marx.
My psychoanalyst thinks I'm perfectly right.
I won't say the Lord's Prayer.
I have mystical visions and cosmic vibrations.
America I still haven't told you what you did to Uncle Max after he came over
from Russia.

I'm addressing you.
Are you going to let our emotional life be run by Time Magazine?
I'm obsessed by Time Magazine.


I read it every week.

Its cover stares at me every time I slink past the corner candystore.
I read it in the basement of the Berkeley Public Library.

 
It's always telling me about responsibility. Businessmen are serious. Movie
producers are serious. Everybody's serious but me.
It occurs to me that I am America.

I am talking to myself again.
Asia is rising against me.

I haven't got a chinaman's chance.

I'd better consider my national resources.
My national resources consist of two joints of marijuana millions of genitals
an unpublishable private literature that goes 1400 miles and hour and
twentyfivethousand mental institutions.

I say nothing about my prisons nor the millions of underpriviliged who live in
my flowerpots under the light of five hundred suns.

I have abolished the whorehouses of France, Tangiers is the next to go.
My ambition is to be President despite the fact that I'm a Catholic.
America how can I write a holy litany in your silly mood?
 
I will continue like Henry Ford my strophes are as individual as his
automobiles more so they're all different sexes

America I will sell you strophes $2500 apiece $500 down on your old strophe America free Tom Mooney
America save the Spanish Loyalists
America Sacco & Vanzetti must not die

America I am the Scottsboro boys.
America when I was seven momma took me to Communist Cell meetings they

sold us garbanzos a handful per ticket a ticket costs a nickel and thespeeches were free everybody was angelic and sentimental about the
workers it was all so sincere you have no idea what a good thing the party
was in 1835 Scott Nearing was a grand old man a real mensch Mother
Bloor made me cry I once saw Israel Amter plain. Everybody must have
been a spy. America you don're really want to go to war.
America it's them bad Russians.
Them Russians them Russians and them Chinamen. And them Russians.
The Russia wants to eat us alive. The Russia's power mad. She wants to take
our cars from out our garages.
Her wants to grab Chicago. Her needs a Red Reader's Digest. her wants our
auto plants in Siberia. Him big bureaucracy running our fillingstations. That no good. Ugh. Him makes Indians learn read. Him need big black niggers.
Hah. Her make us all work sixteen hours a day. Help.
America this is quite serious.


America this is the impression I get from looking in the television set.
America is this correct?
I'd better get right down to the job.
It's true I don't want to join the Army or turn lathes in precision parts
factories, I'm nearsighted and psychopathic anyway.
America I'm putting my queer shoulder to the wheel.


]