ভাষান্তরঃ যারিফ মুহিব অয়ন
অযথা, কিন্তু ব্যাপার হল এই দেশে যখনই আপনি তলস্তয় এর
কথা বলবেন মানুষজন “যুদ্ধ ও শান্তি” এর কথাই ভাববেন, এর পরপরই তাদের মনে যেটা আসবে
সেটা হল ... “এটা অনেক বড়, আমি আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকেই জানি, এটা আমার কখনই
পড়া হয়ে উঠবে না।” তবে এই কলামের উদ্দেশ্য “যুদ্ধ ও শান্তি” বইটা না পড়ার কারণে
আপনাদের খোঁটা দেয়া না, বরং একটা নতুন কাজের রাস্তা বাতলে দেয়া। যদিও তলস্তয়
সাধারণত তার বৃহত্তর কাহিনীর জন্য খ্যাত, তিনি ছোট আকারের সাহিত্য নিয়েও অসাধারণ
কাজ করেছেন, যা এই দুটি উপ-উপন্যাসে দেখতে পাওয়া যায়।
যুদ্ধ ও শান্তি বইটার পরে,
ইভান ইলিচের মৃত্যু ই সম্ভবত তার সর্বৎকৃষ্ট সৃষ্টি- আর এটার পেছনে যথেষ্ট
যুক্তিও আছে। সাহিত্যের ইতিহাসে দাগ রেখে যাওয়া কাজগুলোর মাঝে এটাকে অন্যতম বলা
যায়, শুধু মৃত্যুই না মানব চরিত্রের অতলেও একটা কঠোর, মোহহীন অন্তঃদৃষ্টি। এই সাহিত্যকর্মটি পড়া
অত্যাবশ্যকীয়ঃ এ কারণে না, এটা পড়ে আপনি একটা সাংস্কৃতিক মাইলফলক অতিক্রম করে
ফেলবেন (যেভাবে প্রায়ই লোকেরা মনে করে থাকেন যে হয় তো একদিন অবসরের সময় তারা যুদ্ধ
ও শান্তি বইটা পড়ে শেষ করবেন), কারণ এটা ছাড়া আপনারা মানুষ বলতে যা বোঝায় সে
চিত্রের একটা বড় অংশই দেখা বাদ দিয়ে ফেলবেন, আর এটা কেবল উনবিংশ শতাব্দির শেষাংশের
জন্য প্রযোজ্য নয়, বর্তমানের জন্যও বটে।
এটা চরম সুক্ষ একটি কাজ, যা বাক্যের পর্যায়ে ভেঙ্গে
ভেঙ্গে করা হয়েছে, ফলত সাহত্যটির নির্মমতম অংশগুলোও দেখতে ওয়াহ এর বরফে ঢাকা অংশের
মত লাগে। এর গঠনশৈলী অত্যন্ত গুরুত্তপুর্ণ। শুরুতেই ইলিচের মৃত্যু সংবাদ ঘষিত হয়,
আর আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই তা তার সহকর্মীদের মাঝে ঠিক কি প্রভাব ফেলে। ফিডর
ভ্যাসিলিভিচ ভাবল,“ এখন আমি হয়তো শ্তাবল বা ভিন্নিকভের জায়গাটায় কাজ পাব,” আর, পিটার
ইভানোভিচ ভাবল, “এখনই আমাকে কালুগা থেকে আমার শালার বদলির জন্য তদবির করতে হবে,’ ।
এতে গিন্নী বেশ খুশি হবেন। আর এখন থেকে সে কখনো এটা বলতে পারবে না যে আমি আমার
আত্মীয়দের জন্য কখনোই কিছু করিনি।” (এই ফিডর ভ্যাসিলিভিচ আর পিটার ইভানোভিচ কে ছিল
এটা নিয়ে আপনার খুব উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেইঃ তারা হলেন, আপনি আর আমি।)
প্রথমেই আমরা জানতে পারি ইভান ইলিচ যিনি পেশায় একজন
বিচারক, জীবনের শেষ তিন দিন ক্রমাগত চিৎকার করতে করতে ভুগেছেন; এরপরে তলস্তয়
আমাদের এই দুঃস্বপ্নের ভেতরে নিয়ে যান, একদম শুরু থেকে। এটা এমন একটা জীবনের
পরীক্ষা এবং তার ফলাফল সমূহ যা সঠিক ভাবে যাপিত হয় নি। আর মাইলফলক হিসেবে মৃত্যু
ভীষণ কার্যকর একটি উপাদান। ইম্পসন এর মতে, মৃত্যু হল সাহিত্যের মানুষদের সবচেয়ে বড়
ধরণের অস্ত্রের ঘোড়া, আর সবচেয়ে ভালো মানের নিশানাবাজদেরই শুধু এটা টানা উচিৎ (মাঝে
মাঝে আমার মনে হয় ব্যাকেটের ‘ম্যালনের মৃত্যু’ এটার বিপরীত রসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি
থেকে লেখা- যাকে বলা যায়, হালকা একটা তৃপ্তি)।
অধিকাংশ মন্তব্যকারীরাই মনে করেন যে ইলিচ হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার জীবনকে ক্রমাগত বর্ধমান অপ্রীতিকর একটা ধ্বংসের মুখে যেতে দেখারই যোগ্য ছিলেন, কিন্তু এই বইয়ে এটারও খুব সুক্ষ প্রমাণ রয়েছেঃ আপনি হয়তো মনে করে থাকবেন যে, কোন মতেই যেন কোর্টে তার মত মানুষের সামনে পরতে না হয়, কিন্তু তিনি খুব সাধারন একজন অবিবেচক বা প্রবঞ্চকের মতই। তার যে সকল ভুল ধারনা ছিল সেগুলো আপনার, আমার অথবা সেভাবে দেখলে ফিডর ভ্যাসিলিভিচের থেকে আলাদা কিছু নয়। এটাই এই বইটাকে এতোটা চমকপ্রদ করে তোলে।
আজকের আলোচনার দ্বিতীয় বই, শয়তান লেখা হয়েছিল এর দুই দশক পর, আর এটা অপেক্ষাকৃত অনেক ভালো একজন ব্যক্তি, ইয়েভ্যাগ্নি ইরটেনইএভ এর গল্প, যার গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে অনেক ভূ-সম্পত্তি ছিল, যে বিয়ের আগে নিজেকে এমন একটি পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করে যেখানে তার কামনা চরিতার্থ করা প্রয়োজন হয়ে পরে। (“সে কোন স্বাধীনচেতা ব্যক্তিও ছিল না আবার যেমনটা সে নিজকে বলেছিল, সে কোন সন্তও ছিলো না।”) এটার একটা মজার দিক আছে, বিশেষ করে আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে; কিন্তু আধুনিক একটা দৃষ্টি ভঙ্গি এখানে তেমন খাপ খাওয়াবে না। এর পরেও আপনি ভাবতে পারেন তলস্তয় আমাদের মুখ থেকে যেবাভে হাসি কেড়ে নেন তা একটু চরমপন্থাই বটে,আর যেটা জানা যায় এখানে তো সে সেই দাড়ি ভর্তি, কঠিন চেহারার একজন নীতিবাদী। এতে আমাদের অন্যরকম একটা শেষ তিনি দিয়েছেন, কিন্তু দুটোই নির্মম।
main text :
It is so trite an observation as to
be barely worth making, but the fact is that when you mention Tolstoy in this country, people think "War and Peace",
immediately followed by ". . . and it's very long, and in my heart of
hearts, I know I will never get round to reading it." Well, it is not the
job of this column to make you feel bad about not having read War and Peace,
but to offer a useful alternative. For Tolstoy, although associated with the
broadest of canvases, was also a supremely competent miniaturist, as you'll be
able to see from these two novellas.
The Death of Ivan Ilyich is probably his best-known work after War and Peace
– and with good reason. It is one of the most lacerating works of literature
ever written, a hard, pitiless stare into the abyss, not just of death, but of
human nature. It is one of those works that's essential: not because reading it
means you can tick off a cultural milestone (much in the way that people
imagine that one day, perhaps in retirement, they can tick off War and Peace),
but because without it you're missing part of the picture of what it means to
be human, and not just in late 19th-century St Petersburg, but now.
It is a superbly precise piece of
work, devastating at the level of the sentence, like the bleakest parts of
Waugh at his most bitter. The structure is crucial. Ilyich's death is announced
at the beginning, and we can see exactly what effect it has on his colleagues.
"'I'll probably get Shtabel's or Vinnikov's job now,' thought Fyodor
Vasilyevich." And: "'I'll have to request a transfer from Kaluga for
my brother-in-law now,' thought Pyotr Ivanovich. 'The wife will be delighted.
And now she won't be able to say I've never done anything for my
relatives.'" (You need not trouble yourself too much about who Fyodor
Vasilyevich and Pyotr Ivanovich are: they are you and I.)
We learn early on that Ivan Ilyich,
a judge, had spent the last three days of his life screaming continually; and
then Tolstoy takes us into the nightmare, from its very beginning. It is an
examination of a life not well lived, and the consequences of it. And as a
memento mori it is terribly effective. Death, as Empson said, is the trigger of
the literary man's biggest gun, and only the best marksmen should deal with it
(I sometimes wonder whether Beckett's Malone Dies was written as
a comic counterpoint to this work – light relief, as it were).
Ilyich is assumed by most
commentators to be the kind of man who deserves to see his life as an
increasingly ghastly blunder, but there is scant evidence in the text for this:
you might not have wanted to come up against him in court, you feel, but he is
no more than averagely inconsiderate or fake. His delusions are no different
from yours, mine, or for that matter Fyodor Vasilyevich's. That's what makes
the book so astonishing.
The second novella in this edition, The
Devil, was written a couple of decades later, and is the story of a much
better man, Yevgeny Irtenyev, who, before his marriage, having inherited an
estate in the country, finds himself in a position where he needs to have his
lust satisfied. ("He was not a libertine, yet neither, as he told himself,
was he a monk.") There is a funny side to this, especially from a modern
perspective; but a modern perspective won't quite do here. Even so, you might
think that the way Tolstoy wipes the smile off our faces is a little extreme;
and here he is the full-bearded, stern-looking moralist that he has come to be
known as. We are provided with an alternative ending; each is grim.