ভাষান্তরঃ যারিফ মুহিব অয়ন
“শুন্য মানবসত্তা” নিয়ে
পরিক্ষা করে দেখা গেছে যে বুদ্ধি-বৃত্তির দিক থেকে সকল মানুষই সমান। ভাল ভাবে বলতে গেলে, মানব চরিত্রের মগজগত জটিল বিষয় গুলো ধারণ করার
অক্ষমতায় তারা সমান। যদি আমরা ধরে নেই যে মানুষের শরীরের তন্তগুলোর নানান ধরণের
ক্ষমতা আছে এবং এই ক্ষমতা গুলোর একটি হল, ওই মগজভিত্তিক জটিল বিষয়গুলোর বিকাশ,
তাহলে এই সম্ভাবনা উঠে আসে যে, প্রত্যেক মানুষই তাদের উচ্চতর বুদ্ধি-বৃত্তিক
জায়গায় আলাদা। মানুষের ভাষা যদি ওই মগজগত বিষয় হয় আর যদি এটা না হয় তাহলেই তো বিষয়টা আরো অবাক
করার মত হয়ে পড়ে। মানুষ কোন সন্দেহ ছাড়াই শারীরিক
গঠনগত দিক থেকে একে অপরের থেকে আলাদা; তাহলে তাদের মগজ গত জায়গায় কেনই বা যেই
শারীরিক অস্তিত্তের উপর সেটা বসে আছে তাতে জীনগত
কোন পার্থক্য থাকবে না?
ভাষার মত মগজগত বিষেয়ের তদন্তের
সময় এটা আমাদের এমন একটা ফলাফলের
দিকে নিয়ে যায় যেটা অনেকটাই নির্দিষ্ট এবং আমার কাছে খুবই
গুরুত্তপুর্ন বলে মনে হয়। এই জিনিসটা ভাষার ক্ষেত্রে
জীনগত গঠনের সাথে সম্পরকিত, যদিও এটা পার্থক্যগত
দিকে কোন বিশেষ পথের সন্ধান
দেয় না। গবেষনা করার সময় উপযুক্ত জন্ত্রপাতির অভাবেও এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এমনও
হতে পারে যে , মোটের উপর যে হিসাব করা হয়েছে সেটা বাদ দিলে মানুষের মৌলিক
বিষয়গুলোতে কনো পার্থক্য নেই। স্থুল ভাবে দেখলে আমরা মানুষের ভাষা শেখা আর সেটার উপযোগী ব্যাবহারের দিক থেকে তেমন কনো পার্থক্য দেখব না; কিন্তু যদি খুব সুক্ষ ভাবে দেখতে যাওয়া হয় তাহলে ভাষার কী কী রপ্ত করা হয়েছে এই প্রশ্নে পার্থক্যর
বিষয়টা উঠে আসে; কেননা ভাষার ব্যাবহারের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহেই পার্থক্য খুজে পাওয়া যায়। আমি এই ক্ষেত্রে গোড়ামির মত তো কিছুই খুজে পাই না। অন্যান্য
মগজগত বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের জানাশোনা আসলে এতটাই
কম যে আমরা সেগুলো নিয়ে কোন রকম
ধারনাই করতে পারিনা। আমাদের অভিজ্ঞতা আমাদের এটাই বলে যে মানুষ তাদের
বুদ্ধি-বৃত্তিক বোঝাপড়ার ক্ষমতা আর তাদের বিশেষ জায়গা গুলোতে একে অপরের থেকে
আলাদা। যদি আমরা ধরে নাই যে আমরা একই প্রজাতির প্রাণী নিয়ে আলচনা করছি যারা জৈবিক গাঠনগত দিক থেকে আলাদা তাহলে
বিষয়টা বোঝার
ক্ষেত্রে সমস্যাটা একটু কমে যায়।
অনেক মানুষই বিশেষ করে যারা নিজেদের বাম-লিবারালতন্ত্রের অন্তরভুক্ত বলে মনে করেন তাদের কাছে এ ধরণের ফলাফল মোটেই সুখকর হয় না। আসলে
এটাও হতে পারে যে “শুন্য মানবসত্তা”র অনুসিদ্ধান্তটি তাদের
খুবি ভাল লেগে গেছে। কারণ এটা কিছু বিষয়কে এর ভিতরে অন্তর্ভুক্ত করে, যেমন, শূন্য
বুদ্ধি-বৃত্তিক জায়গায় সবাই সমান, কারো মাঝে কনো
পার্থক্যই নাই। কিন্তু আমি কোন মতেই এটা ভেবে কূল
পাইনা যে এ ধরনের ফলাফল কেমন করে
গ্রহনযোগ্যতা পেতে পারে । আমি নিজে এ
বিষয়টা মেনে নিয়েছি যে আমি যেই শিক্ষাই গ্রহন করি না কেন আমার পক্ষে কোন দিনেও এক মিনিটের মধ্যে এক মাইল দৌড়ান সম্ভব হবে না, গডেলের থীওরামও
আমি কখন আবিস্কার করতে পারব না বা বেথোভেনের কোন
সুরও কোন দিন বাজাতে পারবনা, এরকম কতই না অর্জন মানুষ করেছে যেগুলো কোনদিনেও ছুতে পর্যন্ত পারব না। আমার কখনওই এগুলোর কারণে তেমন একটা অভাব বোধ হয় না। আমি আর অন্য সব সাধারণ মানুষের মতই এই অর্জন গুলোর প্রতি সম্মান প্রদরশন করেই অনেক
ভাল আছি। আর আমি নিজের
পক্ষে সমাজে যেভাবে যতটুকু অবদান
রাখা সম্ভব হয় তা তো করেই যাচ্ছি। মানব চরিত্রের ফ্রেমের মধ্যে মানুষের মেধা একে অপরের থেকে আলাদা হতেই পারে । আর এটা মানুষকে অনেক সৃজনশীল কাজ করার সুযোগও
সৃষ্টি করে দেয়। আর এসব সৃজনশীল কর্মের
মধ্যে একটা হল অন্যের অর্জনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। এটা আনন্দিত হবার মতই একটা বিষয়। এতে নাখোশ হবার মত তো কিছু
দেখিনা। যারা অন্যটা নিয়ে চিন্তা করেন
তারাই আসলে নিজেদের মধ্যে এটা মনে করে নেন যে সমাজে মানুষের অধিকার বা মর্জাদা মানসিক ক্ষমতার উপরই নির্ভর করে। তার অধিকারের প্রশ্নের এই ধারনায় একটা যুক্তি সঙ্গত
কিন্তু অনেকটাই প্রতারণা মূলক উপাদন খুঁজে পাওয়া যায় আর এই একটি বিষয় হলঃ একটা
সুন্দর সমাজে সকল সুযোগ সুবিধা ব্যাক্তিগত চাহিদার সাথে সম্পর্কিত হওয়া উচিৎ। আর
এই ধরণের চাহিদা বিশেষ মেধা ও সক্ষমতার সাথে সম্পরকিত ও এমনকি নির্ভরও করতে পারে।
আমি যা যা করতে পারি না তা অন্যরা করতে পারে এটা দেখে আমার জীবনে যে আনন্দ তা আরো
বেড়ে যায়। আর এই সমস্ত লোকদের তাদের মেধার চর্চা করার যথেষ্ট সুযোগ দেয়ার প্রশ্নে
আমি কোন অসুবিধার কিছু দেখি না , এটা সকল সাধারণ সামাজিক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য
পূর্ণই । যে কোন চলমান সমাজে রীতি নীতি পালনের ক্ষেত্রে কঠিন প্রশ্ন যে উঠে আসবে তা
খুবই স্বাভাবিক। এতে আমি মৌলিক কোন সমস্যা খদেখতে পাই না।
সামাজিক
স্বীকৃতির ক্ষেত্রে প্রায়ই এই অভিযোগ উঠে যে আমাদের সমাজে এই স্বীকৃতি ও মানুষের বুদ্ধি মত্তা অনেকটাই আংশিক ভাবে
পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত। কিন্তু এটা যতদূর পর্যন্তই সত্য হক না কেন, সহজ ভাষায়
এটা একটা সামাজিক ব্যধির মত যার উপর আমাদের বিজয় অর্জন করতে হবে যেমন দাসত্ব
প্রথাকে মানব ইতিহাসে অনেক আগে সমাজ থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছিল। অনেক সময় এটাও বলা হয়
যে যদি কোন বস্তুগত স্বীকৃতির দিকে না যেতে পারে তাহলে সকল গাঠনিক ও সৃজনশীল কাজ
কর্মেরই একসময় অন্ত হয়ে যাবে। এ কারণেই কোন মেধাবী যখন স্বীকৃতি পায় তখন গোটা
সমাজই উপকৃত হয়। তখন আপামর জনতার জন্য বার্তাটা এরকম দাঁড়ায় , “যদি তমার মাথায় কিছু না থাকে তাহলে
তুমি চুপ কর”। এটা সহজেই বুঝতে পারা যায় যে এই
তত্ত্বটা কেন নিজেকে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তদের সামনে তুলে ধরতে পারে। কিন্তু এটা
বিশ্বাস করা খুবই কঠিন হয়ে পরে যে , যে ব্যক্তি কলা, বিজ্ঞান, শিল্প বা অন্য কোন
সৃজনশীল কাজের সাথে যুক্ত বা যারা এগুলোর সাথে যুক্ত তাদের সাথে সম্পরকিত সে এরকম
তত্তকে কারো সামনে আনতে পারে। “মেধাবৃত্তি”র আদর্শিক তত্ত্বগুলোর আমার জানা
মতে কোন বাস্তবিক বা যৌক্তিক ভিত্তি নাই; এই তত্ত্ব গুলো একটা _____ বিশ্বাসের উপর
প্রতিষ্ঠিত যার এটা ছাড়া কোন বিশেষ যৌক্তিকতা নাই। আমি এই বিষয়টি অন্য এক জায়গায়
আলচোনা করেছি, আবার এটা নিয়ে এখানে ঘাঁটতে চাই না।(২৯)
ধরা
যাক যে মানুষের চরিত্র নিয়ে গবেষণা করার সময় বেড় হল যে মানুষের জটিল মগজগত বিষয়
গুলি আসলে জীনগত প্রোগ্রামিঙের মাধ্যমে গঠিত হয় আর একটা নির্দিষ্ট কাঠামোর মাঝেই
মানুষের মাঝে নানান রকমের পার্থক্য বিরাজ করে। এটা আমার কাছে খুব যৌক্তিক একটা
আশার বিষয় বলেই মনে হয়। আর এই অবস্থাটাও বেশ কাঙ্ক্ষিতই বলা যায়।আমি যতদূর দেখতে
পাই আগে থেকেই যা অঙ্কিত আছে তা ছাড়া অধিকারের সাম্যতার প্রশ্নে ও এর শর্তের সাথে
এই বিষয়টির কোন সম্পর্কই নাই ।
সব
শেষে বর্ণবাদ ও বুদ্ধি গত বৃত্তির প্রশ্নে আসা যাক। এ ধরণের প্রশ্নে কি কি নতুন
বিষয় খুঁজে বের করা গেল সেগুলো নিয়ে একটা সুন্দর সমাজের কোন প্রকার মাথা ব্যাথা
থাকার কথা না । কোন একজন ব্যক্তি তার যা কিছু সে সন কিছু নিয়েই সে; তাকে তার গোত্র
অনুসারে আলাদা করে দেখা হবে, এটা কেবল একটা বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি মাত্র। তাই এই সব
অনুসন্ধানের কারণে সমাজের যে বর্ণবাদ মূলক মাথা ব্যথার উদ্রেক হয় এ গুলো এমনই। তাই
বর্ণবাদ মূলক সকল ধারণাকে উপড়ে ফেলতে অন্তত এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই সব বাস্তবিক
অনুসন্ধান যাই হক না কেন তা নিয়ে সমাজের কোন রকমের মাথা ব্যাথা থাকা চলবেনা, এমনকি
এগুল আসলে কি তা জানারও কোন প্রয়জনীয়তা নেই। যদি বর্ণ ও কিছু বিশেষ সক্ষমতার নিয়ে
কোন অনুসন্ধান করার কোন উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া যায় তবে সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই
খুজতে হবে একটা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। কোন প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতা আছে
কিনা তা নির্ধারণ করা বেশ কঠিন কাজ। কোন একটা অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক যোগ্যতা
ততক্ষনই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত এর ফলাফলের মাঝে বিজ্ঞানের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য
খুঁজে পাওয়া যায়। কেউ কখনও আলাদা আলাদা লেনের উপর ঘাসের পরদ কত মোটা ও এরকম নানা
ধরণের বিকট কোন ভিত্তিহীন প্রশ্ন গবেষণা করে না। বর্ণ ও বুদ্ধিবৃত্তি নিয়ে
গবেষণারও এ ধরণের কোন দৃশ্যত বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব নাই। এটা ধরে নেয়া যায় যে এ
ক্ষত্রে উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্যের সাথে একটা আংশিক পারস্পরিক লেনদেন
থাকতে পারে, কিন্তু এ জন্য বর্ণ ও বুদ্ধি বৃত্তির মত অক্ষ্যত মিশ্রিত জটিল বিষয়
দুটোকে বেছে নেয়ার কথা না কারো। এর পরিবর্তে সে হয়ত প্রশ্ন করত দৃষ্টি যোগ্য এবং
আর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিয়ে যেমন, চোখের রঙ, দৈর্ঘ্য, পায়ের আঙ্গুলের দৈর্ঘ্য এসব
বিষয় নিয়ে। বুদ্ধিবৃত্তি ও বর্ণ বাদের মত
বিষয় কিভাবে করে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জায়গা পায় তার কারন খুঁজে পাওয়া আসলেই খুব
কঠিন। যদি বর্ণবাদ অর্থাৎ কোন একজন ব্যক্তিকে সে যা সে অনুসারে না বিবেচনা করে
বর্ণবাদের ভিত্তিতে সমাজে তার অবস্থানকে নির্ধারণ করলে এই গবেষণার আর অন্য কোন
বৈজ্ঞানিক বা সামাজিক গুরুত্ব নাই থাকে তবে এক্ষত্রে প্রকৃত অর্থে কোন সুবিধা হয়
না । এখন প্রশ্ন উঠে আসে যে কেন তাহলে
এত আগ্রহের সাথে এই বিষয়টাকে নিয়ে আলচোনা করা হয়? তাহলে এটাকে এতটা গুরুত্তের সাথে
কেন নেয়া হয়? আমাদের মনোযোগ সাধারণত বরনবাদ্গত ধারণা সসমুহের উপরই এসে পরে যেটা এই অনুসন্ধানের উপর কিছুটা গুরুত্ব আরোপ করে যদি
এর ফলাফল গৃহিত হয়ে যায়।
একটা
বর্ণ বাদী সমাজ ব্যবস্থায় বর্ণ আর বুদ্ধি নিয়ে এ ধরণের অনুসন্ধান এই বদ্ধমূল
ধারণা(বর্ণ বাদ)কে জিইয়ে রাখে। আর এ ধরণের তদন্ত থেকে যে এ ধরণেরই মুক্ত ফলাফল বের
হবেই। যদি কোন অনুসন্ধানকে ‘বর্ণ’ ও ‘বুদ্ধি-বৃত্তি’র মত বিষয় ধরিয়ে দেয়া হয় তবে এর ফলাফল অখ্যাত আর
বিরোধত্মক তো হবেই। আর এই বক্তব্য গুলো একজন অদক্ষ ব্যক্তির জন্য বেশ জটিল হয়ে
দাঁড়ায়। বর্ণ বাদীদের কেছে ‘প্রমাণিত
হয়নি’ বিষয়টি ‘হতেও পারে’ বলেই ধরা দেয়। এতে নিজের মূল
বদ্ধতায় বর্ণ বাদীর গড়াগড়ি দেবার মত যথেষ্ট সুযোগ থেকে যায়। এই অনুসন্ধান যখন
গৃহীত হয়েছে তখন এর ফলাফলের কিছু বাস্তবিক গুরুত্তের সম্ভাবনা থেকে যায়, আর এই
গুরুত্ব যেহেতু কেবল আর কেবল মাত্র বর্ণ বাদী মতবাদের দিকেই দেখা যায় , এই মতবাদ
গুলো প্রকাশিত না হলেও পরক্ষ ভাবে এগুলোর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এই কারণেই হয়ত নাজি জার্মানি তে সে সময় ইহুদিদের
জীনগত চারিত্রিক বিশিষ্টের বৈজ্ঞানিক
গবেষণা চালানো হচ্ছিল।এতে কোন সন্দেহই নেই যে বর্ণ আর বুদ্ধি বৃত্তি নিয়ে এধরণের
গবেষণার কারণে আমেরিকায় যারা বর্ণ বাদের শিকার হয়েছিল তাদের কে বেশ কষ্ট সহ্য করতে
হয়েছিল। আমি কাল শিক্ষিত দের এটাও বলতে শুনেছি যে কিভাবে করে শিশুদের উপর এই তীব্র
বিষয়টি আরোপ করা হত যে বিজ্ঞান তাদের বর্ণ সম্পর্কে এই এই তথ্য আবিষ্কার করেছে আব
আবিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পেয়েছে।
আমরা
কখনই এটা অস্বীকার করতে পারবনা যে আমরা একটা তীব্র বর্ণ বাদী সমাজে বাস করি , যদিও
বিষয়টি আমরা ভুলে থাকতেই পছন্দ করি। যখন নিইউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক বৃন্দ ও
জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মইনিহান উগান্ডার ইনি-আমিন কে ‘বর্ণ বাদী খুনি’ বলে তিরস্কার করেন তখন তাদের সততা
ও সাহসকে প্রশংসিত করা হয় আর তখন সারা দেশে একটা গর্বের তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। খুব
বেশি দিন হয়নি যখন এই সম্পাদকেরা ও রাষ্ট্রদূত এমন একটা পর্যায় পর্যন্ত বর্ণ বাদী
খুন খারাপি কে অনুমদোন দিয়েছেন যা ইডি-আমিনের সবচেয়ে বন্য কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যায়,
এটা খুঁজে দেখার জন্য এতটা নিচেও আবার কেউ যেতে চাইবে না। তাদের কপট রায়ের সামনে
ভয় পেয়ে সাধারণ এই হারমানার দুটো বিষয়কে প্রতিফলিত করে, একটি হল, শক্তিশালী আদর্শিক নিয়ন্ত্রণ যা আমাদেরকে আমদের
ক্রিয়া কলাপ ও তাদের ফলাফলের সাথে একটা সমঝোতায় আসতে বাধা দেয়, দ্বিতীয়টি হল, বর্ণ
বাদ মূলক ব্যাবস্থার কাছে রাষ্ট্রের গভীর প্রবল প্রতিশ্রুতি। এশিয়াতে যুদ্ধের
কারণে যারা আমাদের শিকারে পরিণত হয়েছে তাদেরকে কখনই সম্পূর্ণ রূপে মানুষ বলে মনে
করা হয়নি। আমাদের চিরস্থায়ী লজ্জার সামনে এই বাস্তবিক বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করা যায়
খুবই সহজে। আর যতদূর প্রশ্ন আমাদের অভ্যন্তরীণ বর্ণবাদের , সেক্ষেত্রে আমার কোন
কিছু বলার প্রয়োজনই পড়ে না।
আগে
থেকেই পরে কি কি ঘটতে পারে তা বোঝা যায় এওম্ন একটা জিনিসের গবেষণার জন্য গবেষক
নিজেও অনেক খানিই দায়ী। বিষয়টি খুবই স্পষ্ট আর বোধগম্যঃ মানুষকে গবেষণার বিষয়
হিসেবে নেবার সময়কার শর্ত গুলোর দিকেও মাদের কিন্তু নজর দিতে হবে। এক্তু আগে বর্ণীত কারন গুলোর কারণেই বর্ণবাদী
সমাজে বরতমানে আমরা যে অনুসন্ধানটি নিয়ে আলাপ করছি , বর্ণ ও বুদ্ধি বৃত্তি নিয়ে,
তার অবিবেচক ফলাফল গুলো বেশ চড়া সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। সা কারণেই যে
বৈজ্ঞানিকই এই গবেষণার কাজ হাতে নেবেন তিনি এটাই দেখাবেন যে এর ফলাফল যা বেড় হবে
তা এই ক্ষতিকে ছাপিয়ে উপরে উঠার মত বড়
একটা জিনিস। উধাহরন স্বরূপ এটা বলা যায় যে কেউ যদি এতার নিসচয়তা দেয় যে সে এমন
ভাবে জিনিস্তাকে নিয়ন্ত্রণ করবে যাতে করে এমন মনে হয় যে এই ক্ষতি পরবর্তীতে সমাজ
বিজ্ঞানের তাত্তিকতাকে আরো ভালো একটা দিকে নিয়ে যাবে , যেমনটা করেছেন বস্টন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জন সেল্বার, তিনি তার নৈতিক পরিগণনার মাঝে একটা অন্তর্দৃষ্টি
মূলক বিষয় দেখিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে বর্ণবাদী সমাজব্যাবস্থায় কিভাবে করে বর্ণ
আর বুদ্ধি- বৃত্তি নিয়ে গবেষনার ফলাফল গবেষণার ফলে ঘটা সামাজিক ক্ষতির থেকেও অনেক
বড় একটা পাওয়া। এধরণের জ্ঞানী ব্যক্তিদের
প্রায়ই এটা বিশ্বাস করতে দেখা যায় যে তারা প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতাকে রক্ষা করছেন,
কিন্তু এটা জলকে ঘোলা ছাড়া আর কিছুই করে না। স্বাধীন গবেষণার বিষয়টি এখানে তার প্রথাগত
চেহারায় উত্থাপিত হয়ঃ এই গবেষণার ফলে কি কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে? এই গবেষণার
গুরুত্ব কি এই ক্ষতির থেকেও অনেক বড়? কোন বইজ্ঞানিকের সে যা করে তার ফলে কি কি হতে
পারে তার জবাবদিহিতা থেকে বাচার জন্য আলাদা কোন অনন্য অধিকার নাই।
একবার
যখন বর্ণ ও বুদ্ধি- বৃত্তির প্রশ্ন টা উঠে এসেছে তখন ওই সমস্ত ব্যক্তি যারা এর
দ্বারা হতে পারা সামাজিক ক্ষতির সম্পর্কে আভাস পেয়েছিলেন এবং এটা নিয়ে বেশ শঙ্কিত
হয়ে পরেছিলেন তারাই পড়েছেন বিপাকে। তারা হয়ত বা এই নকশার উপর যা যা গড়ে উঠেছিল
সেগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু তার এটা এমনই একটা বরনবাদী
সমাজব্যাবস্থায় করেছেন যেখানে মানুষকে আরও বেশি করে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় যাতে করে
তারা মানুষ ও সমাজের গুরুত্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রশ্ন গুলি নিয়ে এমন সব “কারিগই দক্ষ” ব্যক্তিদের কাছে যেতে থাকে যারা
আসলে জল ঘোলা করতে ও সুবধাবাদীদের রক্ষা করার জন্য প্রায়ই দায়ী হন, গ্রামস্কির
শব্দ গুচ্ছ ব্যবহার করে তাদের বলা যায়, “বইধকরণে দক্ষ”। অথবা তারা
তর্কবিতর্কের সেই ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে যেখানে তারা পরক্ষ ভাবে এই বিশ্বাসকেই
শক্তিশালী করে তলে যে গবেষনার ফলাফল যা হবে তা আসলেই সমাজে বিশাল একটা ভুমিকা
রাখবে , আর এটা বর্ণ বাদের ধারণাকেই মৌন সম্মতি দেয় যার উপর প্রকৃত অর্থে এই
বিশ্বাস নিহিত থাকে। বর্ণ আর বুদ্ধি বৃত্তির মধ্যে যে একটা লিগ্যাল আন্ত- সম্পর্ক
আছে তা তারা অস্বীকার করে বর্ণবাদের ধারণাকেই পাকাপোক্ত করে তলে। এই বিষয়েও একটা
উভয় সংকট থেকে যায়। এটা নিয়ে আমি খুন ও আক্রমন্সীলতা নিয়ে একটা বিতর্কে বিশদ ভাবে
আলচোনা করেছি।৩০ । একটা সেই রকম আদর্শিক সমাজেও এর ভিন্নতা খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।
এটা আমাদের কপালের দোষ যে আমরা এটা নিয়ে পরিতাপ তো করতে পারি কিন্তু এর হাত থেকে
খুব সহজে রক্ষা পাব না।
আমরা
প্রদত্ত ঐতিহাসিক শর্ত অনুসারে কাজ করি ও আমাদের অস্তিত্ত টিকিয়ে রাখি। আমরা এটা
পরিবর্তনের চেষ্টা তো করতে পারি কিন্তু সামাজিক পরিবর্তনের জন্য আমরা যেই যুক্তিই
হাতে নিই বা যে কাজই করতে যাই, অথবা এর জন্য যে সব সরাসরি ক্রিয়ায় আমত্রা লিপ্ত
হইই বা বিরত হইনা কেন সেগুলোতে এই
শর্তসমূহ অস্বীকার করতে পারি না । স্বাধীনতা ও সাম্য নিয়ে আলচোনার সময় মুল্য্যনের
বিচারের উপর ভিত্তি করে তলা প্রশ্ন গুলোর জট ছাড়ানো আসলেই বেশ কষ্টের কাজ। আমাদের
এতার উত্তর খোঁজা উচিৎ বাস্তবিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে যখন এ সম্ভাবনা থাকবে না যে
এটা কোন পূর্ব ধাবিত গোঁড়ামির দিকে না এগোয়, আর আমরা যা করতে জাব তার কি কি ফল হতে
পারে তা চিন্তা না করে অবশ্যই এটা করা যাবে না। আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে আমরা
যাই করি না কেন তা সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো কতৃক আরোপিত তথাকথিত গুণাবলির দ্বারা সংক্রামিত ও দূষিত যা আরো বেশি অনুগত ও
নিষ্ক্রিয় করার যন্ত্র হিসেবে কাজ করে।আমরা বিজ্ঞানী হয়ে বা বুদ্ধি জীবী হয় বা বড়
উকিল হয়ে যা যা করি সেগুলো সবেরই কিছু ফলাফল থাকে। আমরা ক্কখমতা ও সুবিধার আড়ালে
গড়ে উঠা একটা সমাজে কখনই এই শর্তকে না দেখা করতে পারি না ।এটা এমন একটা কঠিন
দায়িত্ব যেটাকে একটা সুন্দর সমাজ ব্যাবস্থায় একজন বৈজ্ঞানিক বা একজব জ্ঞানী
ব্যাক্তিকে তার কাঁধের উপর নিতে হয় না, এমন একটা সমাজে যেখানে কতৃপক্ষের
কতৃত্তবাদী সিদ্ধান্তের সামনে কোন একক ব্যাক্তির জীবন ও বিশ্বাসকে খারিজ করে দেয়া
হয় না। আমাদের উচিৎ - সততা ও সত্যবাদীতা, দায়িত্ব এবং উদ্রেকের মত সহজ সহজ
বৈশিষ্ট্য অনুমোদন দিয়ে এগিয়ে চলা। কিন্তু এই সহজ নীতিগুলোর উপর ভর দিয়ে চলা
কিন্তু মোটেই কোন সহজ কথা নয়।
main article
[
investigation in principle, a system that provides a unique
form of intelligence that manifests itself in human language,
in
our unique capacity to develop a concept of number and abstract space,28 to construct
scientific theories in certain domains, to create certain systems of art, myth,
and ritual, to interpret human actions, to develop and comprehend certain
systems of social institutions, and so on.
On an "empty organism" hypothesis, human beings are assuredly
equal in intellectual endowments. More accurately, they are equal in their incapacity
to develop complex cognitive structures of the characteristically human sort.
If we assume, however, that this biologically given organism has its special
capacities like any other, and that among them are the capacities to develop
human cognitive structures with their specific properties, then the possibility
arises that there are differences among individuals in their higher mental
functions. Indeed, it would be surprising if there were not, if cognitive
faculties such as the language faculty are really "mental organs."
People obviously differ in their physical characteristics and capacities; why
should there not be genetically determined differences in the character of
their mental organs and the physical structures on which they are based?
Inquiry into specific cognitive capacities such as the language faculty
leads to specific and I think significant hypotheses concerning the genetically
programmed schematism for language, but gives us no significant evidence
concerning variability. Perhaps this is a result of the inadequacy of our
analytic tools. Or it may be that the basic capacities are truly invariant,
apart from gross pathology. We find that over a very broad range, at least,
there are no differences in the ability to acquire and make effective use of a
human language; at some level of detail, it may be differences in what is
acquired, as there are evidently differences in facility of use. I see no
reason for dogmatism on this score. So little is known concerning other
cognitive capacities that we can hardly even speculate. Experience seems to
support the belief that people do vary in their intellectual capacities and
their specialization. It would hardly come as a surprise if this were so,
assuming that we are dealing with biological structures, however intricate and
remarkable, of known sorts.
Many people, particularly those who regard themselves as within the
left-liberal political spectrum, find such conclusions repugnant. It may be
that the empty organism hypothesis is so attractive to the left in part because
it precludes these possibilities; there is no variability on a null endowment.
But I find it difficult to understand why conclusions of this sort should be at
all disturbing. I am personally quite convinced that no matter what training or
education I might have received, I could never have run a four-minute mile,
discovered Godel's theorems, composed a Beethoven quartet, or risen to any of
innumerable other heights of human achievement. I feel in no way demeaned by
these inadequacies. It is quite enough that I am capable, as I think any person
of normal endowments probably is, of appreciating and in part understanding
what others have accomplished, while making my own personal contributions in
whatever measure and manner I am able to do. Human talents vary considerably,
within a fixed framework that is characteristic of the species and that permits
ample scope for creative work, including the creative work of appreciating the
achievements of others. This should be a matter for delight rather than a
condition to be abhorred. Those who assume otherwise must be adopting the tacit
premise that a person's rights or social reward are somehow contingent on his
abilities. As for his rights, there is an element of plausibility in this
assumption in the single respect already noted: in a decent society
opportunities should confirm as far as possible to personal needs, and such
needs may be specialized and related to particular talents and capacities. My
pleasure in life is enhanced by the fact that others can do many things that I
cannot, and I see no reason to deny these people the opportunity to cultivate
their talents, consistent with general social needs. Difficult questions of
practice are sure to arise in any functioning social group, but I see no
problem of principle.
As for social rewards, it is alleged that in our society remuneration
correlates in part with IQ. But insofar as that is true, it is simply a social
malady to be overcome much as slavery had to be eliminated at an earlier stage
of human history. It is sometimes argued that constructive and creative work
will cease unless it leads to material reward, so that all of society gains
when the talented receive special rewards. For the mass of the population,
then, the message is: "You're better off if you're poor." One can see
why this doctrine would appeal to the privileged, but it is difficult to
believe that it could be put forth by anyone who has had experience with
creative work or workers in the arts, the sciences, crafts, or whatever.
The standard arguments for "meritocracy" have no basis in
fact or logic, to my knowledge; they rest on a priori beliefs, which,
furthermore, do not seem particularly plausible. I have discussed the matter
elsewhere and will not pursue it here.29
Suppose that inquiry into human nature reveals that human cognitive
capacities are highly structured by our genetic program and that there are
variations among individuals within a shared framework. This seems to me an
entirely reasonable expectation, and a situation much to be desired. It has no
implications with regard to equality of rights or condition, so far as I can
see, beyond those already sketched.
Consider finally the question of race and intellectual endowments. Notice
again that in a decent society there would be no social consequences to any
discovery that might be made about this question. An individual is what he is;
it is only on racist assumptions that he is to be regarded as an instance of
his race category, so that social consequences ensue from the discovery that
the mean for a certain racial category with respect to some capacity is
such-and-such. Eliminating racist assumptions, the facts have no social
consequences whatever they may be, and are therefore not worth knowing, from
this point of view at least. If there is any purpose to an investigation of the
relation between race and some capacity, it must derive from the scientific
significance of the question. It is difficult to be precise about questions of
scientific merit. Roughly, an inquiry has scientific merit if its results might
bear on some general principles of science. One doesn't conduct inquiries into
the density of blades of grass on various lawns or innumerable other trivial
and pointless questions. Likewise, inquiry into such questions as race and IQ
appears to be of virtually no scientific interest. Conceivably, there might be
interest in correlations between partially heritable traits, but if someone
were interested in this question he would surely not select such
characteristics as race and IQ, each an obscure amalgam of complex properties.
Rather, he would ask whether there is a correlation between measurable and
significant traits, say, eye color and length of the big toe. It is difficult
to see how the study of race and IQ can be justified on any scientific grounds.
If the inquiry has no scientific significance and no social significance,
apart from the racist assumption that an individual must be regarded not as
what he is but rather as standing at the mean of his race category, it follows
that it has no merit at all. The question then arises, Why is it pursued with
such zeal? Why is it taken seriously? Attention naturally turns to the racist
assumptions that do confer some importance on the inquiry if they are accepted.
In a racist society, inquiry into race and IQ can be expected to reinforce
prejudice, pretty much independent of the outcome of the inquiry. Given such
concepts as "race" and "IQ," it is to be expected that the
results of any inquiry will be obscure and conflicting, the arguments complex
and difficult for the layman to follow. For the racist, the judgment "not
proven" will be read "probably so." There will be ample scope
for the racist to wallow in his prejudices. The very fact that the inquiry is
undertaken suggests that its outcome is of some importance, and since it is
important only on racist assumptions, these assumptions are insinuated even
when they are not expressed. For such reasons as these, a scientific
investigation of genetic characteristics of Jews would have been appalling in
Nazi Germany. There can be no doubt that the investigation of race and IQ has
been extremely harmful to the victims of American racism. I have heard black
educators describe in vivid terms the suffering and injury imposed on children
who are made to understand that "science" has demonstrated this or
that about their race, or even finds it necessary to raise the question.
We cannot ignore the fact that we live in a profoundly racist society,
though we like to forget that this is so. When the
New York Times
editors and U.N. Ambassador Moynihan castigate Idi Amin of Uganda as a
"racist murderer," perhaps correctly, there is a surge of pride
throughout the country and they are lauded for their courage and honesty. No
one would be so vulgar as to observe that the editors and the Ambassador, in
the not very distant past, have supported racist murder on a scale that exceeds
Amin's wildest fantasies. The general failure to be appalled by their
hypocritical pronouncements reflects, in the first place, the powerful
ideological controls that prevent us from coming to terms with our acts and
their significance and, in the second place, the nation's profound commitment to
racist principle. The victims of our Asian wars were never regarded as fully
human, a fact that can be demonstrated all too easily, to our everlasting
shame. As for domestic racism, I need hardly comment.
The scientist, like anyone else, is responsible for the foreseeable
consequences of his acts. The point is obvious and generally well understood:
consider the conditions on the use of human subjects in experiments. In the
present case, an inquiry into race and IQ, regardless of its outcome, will have
a severe social cost in a racist society, for the reasons just noted. The
scientist who undertakes this inquiry must therefore show that its significance
is so great as to outweigh these costs. If, for example, one maintains that
this injury is justified by the possibility that this will lead to some
refinement of social science methodology, as argued by Boston University
President John Silber (
Encounter, August, 1974), he provides an insight
into his moral calculus: the possible contribution to research methodology
outweighs the social cost of the study of race and IQ in a racist society. Such
advocates often seem to believe that they are defending academic freedom, but
this is just a muddle. The issue of freedom of research arises here in its
conventional form: does the research in question carry costs, and, if so, are
they outweighed by its significance? The scientist has no unique right to
ignore the likely consequences of what he does.
Once the issue of race and IQ is raised, people who perceive and are concerned
by its severe social cost are, in a sense, trapped. They may quite properly
dismiss the work on the grounds just sketched. But they do so in a racist
society in which, furthermore, people are trained to consign to questions of
human and social importance to "technical experts," who often prove
to be experts in obfuscation and defense of privilege -- "experts in
legitimation," in Gramsci's phrase. The consequences are obvious. Or, they
may enter the arena of argument and counterargument, thus implicitly
reinforcing the belief that it makes a difference how the research comes out
and tacitly supporting the racist assumptions on which this belief ultimately
rests.
Inevitably, then, by refuting alleged correlations between
race and IQ (or race and X, for any X one selects), one is reinforcing racist
assumptions. The dilemma is not restricted to this issue. I have discussed it
elsewhere in connection with debate over murder and aggression.30 In a highly
ideological society, matters can hardly be otherwise, a misfortune that we may
deplore but cannot easily escape.
We exist and work in
given historical conditions. We may try to change them, but cannot ignore them,
in the work we undertake, the strategies for social change that we advocate, or
the direct action in which we engage or from which we abstain. In discussion of
freedom and equality, it is very difficult to disentangle questions of fact
from judgments of value. We should try to do so, pursuing factual inquiry where
it may lead without dogmatic preconception, but not ignoring the consequences
of what we do. We must never forget that what we do is tainted and distorted,
inevitably by the awe of expertise that is induced by social institutions as
one device for imposing passivity and obedience. What we do as scientists, as
scholars, as advocates, has consequences. We cannot escape this condition in a
society based on concentration of power and privilege. This is a heavy
responsibility that a scientist or scholar would not have to bear in a decent
society, one in which individuals would not relegate to authorities decisions
over their lives or their beliefs. We may and should recommend the simple
virtues: honesty and truthfulness, responsibility and concern. But to live by
these principles is often no simple matter. ]